গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
অবশেষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চা ল্যকর নিখিল তালুকদার হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি শেখ লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, আজ রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১। মামলার আসামী এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ লুৎফর রহমান।
গত মঙ্গলবার (০২.০৬.২০২০)বিকেলে রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে নিখিলসহ চারজন তাস খেলছিল। ওই সময় কোটালীপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান একজন ভ্যান চালক ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলকে নিয়ে সেখানে যায় এবং আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করে। তাস খেলতে থাকা ওই চার ব্যক্তি যখন দেখতে পায় তাদের খেলা মোবাইলে ধারণ করছে, তখন তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্য ৩জন পালিয়ে গেলেও নিখিলকে শামীম হাসান ধরে মারপিট করতে থাকে এবং হাঁটু দিয়ে মেরুদন্ডে আঘাত করে। এতে নিখিলের মেরুদন্ড তিন খন্ড হয়ে যায়। আহতাবস্থায় স্বজনেরা তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আসলাম খানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
গত শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনায় একটি মীমাংসা বৈঠক হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই মীমাংসা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে নিহত নিখিলের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার স্ত্রী ইতি তালুকদার এবং ছোট ভাই মন্টু তালুকদারকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
Leave a Reply