মোঃ আবুল কাশেম, স্ট্যাফ রিপোর্টার, দৈনিক বাংলার দূত, চরফ্যাশন, ভোলা, বরিশাল বাংলাদেশ।
সন্ত্রাসবাদী ভোলা জেলার সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন উপজেলার সন্ত্রাসবাদী এওয়াজপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসবাদী এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও এওয়াজপুর হাই স্কুলের শিক্ষক হেলাল মাষ্টার মহাশূন্য, পৃথিবীর মেরুদ্বয়, বায়ুমণ্ডল, ভূ-পৃষ্ঠ ও ভূ-গর্ভ নিয়ে আধুনিক বিশ্বাশ্চর্য তথ্য নির্ভর নিন্মোক্ত মতামত ব্যক্ত করেছেন।
গ্যাস চাপ বাড়লে আয়তন কমে প্রেসার পড়ে ভূ-পৃষ্ঠের উপর। চাপ কমলে আয়তন বাড়ে এতেও প্রেসার পড়ে ভূ-পৃষ্ঠের উপর। ভূ-পৃষ্ঠে সূর্যের তাপ পরে যা মাটি ও পানি শোষণ করে পানি বাষ্পায়িত হয়ে বায়ু মন্ডলের ভেসে বেড়ায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় যা মাটি শোষন করে এবং কিছু পানি ভূ-পৃষ্ঠ গড়িয়ে সাগরে যায়। মাটির গর্ভে পানি ও অন্যান্য পদার্থ আছে। উপর থেকে মাটি ভেদ করে ভূ-গর্ভে কিছু পানি যাওয়ার সময় ভূ- পৃষ্ঠের জমাকৃত তাপ শোষণ করে এবং ভূ-গর্ভকে ঠান্ডা রাখে এবং ভূ-কম্পনের মাত্রা কমিয়ে দেয় বা ভূ-কম্পন কম হয়। এতে মহাবিপর্যয় থেকে মানব ও প্রানীকূলকে রক্ষা করে। মানুষ বাড়ার ফলে চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা মেটানোর জন্য যা বর্তমানে
ও ভবিষ্যতে প্রচুর জ্বালানি পোড়াতে হবে যাতে বায়ু মন্ডলে কার্বনডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড ও সিএফসি গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে। বায়ু গরম হয়ে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এবং বরফ গলে পানির মাত্রা বাড়বে। কিন্তু বাষ্প বাড়ার সাথে বৃষ্টির পরিমানও বাড়বে যাতে উদ্ভিদ গুল্ম অর্থাৎ বনভূমির আয়তন ও ডালপালা বাড়বে। এতে বায়ু মন্ডলের একটি ভারসাম্য বজায় রাখার প্রক্রিয়া চলবে। পানি তাপ শোষণ করে বাষ্প এবং বৃষ্টিপাত ঘটাবে। যা মাটি বা ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোষণ করবে। কথিত আছে পৃথিবীর তিন ভাগ পানি এক ভাগ মাটি। পৃথিবী সৃষ্টির সময় এত স্থলের বা ভূ-পৃষ্টের অবস্থান ছিল না। পানির পরিমাণ আরো বেশী ছিল সাগরের তলদেশেও মাটি আছে। পৃথিবীতে কালের বিবর্তনে আরো মাটি উৎপাদিত হচ্ছে। যাতে সাগর বক্ষের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে চরের সৃষ্টি হচ্ছে। মানবকূল সেখানে বসবাসের উপযোগী করে বাড়ীঘর ও বনভূমি সৃষ্টি করছে। বর্তমানে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, এন্টার্কটিকা মহাদেশের বরফ গলছে। এতে পৃথিবীতে অনেক হৈ চৈ করে দিয়েছেন। কিছুদিন বরফ গলার পর সাগরে পানি বাড়লে তাপমাত্রা বাড়ার ফলে পানির বাষ্পায়িতের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বৃষ্টিপাতের সময় কিছু তাপ শোষিত হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে পড়বে। পানি মাটিতে প্রবেশের সাথে উদ্ভিদকূলকে শক্তি জোগাবে। পৃথিবীত শীত তীব্রতা বেড়ে যাবে। এতে ভূ-পৃষ্ঠ ঠান্ডা হবে। এবং মহাবিপর্যয়ের ভূ-কম্পনের হাত থেকে পৃথিবী রক্ষা করবে। এতে বায়ু মন্ডলের ভারসাম্য তৈরী হবে। কিছু পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় কিছু জৈব অজৈব পদার্থ সাগর বক্ষে নিয়ে যাবে। এতে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পেতে পারে। কার্বন ডাই অক্সাইড উদ্ভিদ কূলের প্রয়োজন এবং অক্সিজেন প্রাণীকূলের প্রয়োজন। তৈল বা গ্যাসকূপ বা কয়লাকূপ খনন করার ফলে কালক্রমে এসব জায়গায় পানি দখল করবে। আবার বিধ্বংসী সামনের ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের মৃতদেহ পঁচে বিভিন্ন জৈব পদার্থ উৎপন্ন হবে। যা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ধারনা করা যায় যে, এই পৃথিবীর গুনীদের কাছে কতটা গ্রহনযোগ্য তা আমার জানা নেই। তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশী হৈচৈ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। বর্তমান বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড় বড় মাপের হবে। কিন্তু যুক্তি মতে ধারনা করা যায় যে, কিছু বছর তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। সমুদ্রপৃষ্ঠে বেশী পরিমান তাপ পড়লে জলীয় বাষ্প বেশী পরিমাণে সৃষ্টি হবে। এতে পানির পরিমাণ থাকবে বেশী। বাতাসের গতিবেগ থাকবে কম। এতে পৃথিবীর ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ হবে কম। পৃথিবীর বড় বড় শহরগুলোতে বড় বড় ইমারত তৈরির ফলে ভূ-পৃষ্ঠের উপর চাপ পড়ে বেশী। রাজপথ বা শহুরে পাকা পথে তাপ শোষণ হয় বেশী। এতে করে চাপ ও তাপের প্রভাবে শহুরের কেন্দ্র স্থলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূকম্পন যেখানে উৎপন্ন হয় সেখানে রিকটার স্কেলের মাত্রা সবচেয়ে বেশী। বড় বড় ইমারতের উপর প্রভাব পড়ে বেশী। এতে ক্ষতির পরিমাণ বেশী দাঁড়ায়। তাই শহরে জলাশয়ের সৃষ্টি করে বা জলাশয়গুলোকে টিকিয়ে রেখে তাপমাত্রার প্রভাব কমিয়ে আনা যায়।
পানি বাষ্প হয়ে আকাশে জমাকৃত ঠান্ডা ঘনীভূত বরফ সব টুকু বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে না। কিছু বরফ পৃথিবীর উত্তর মেরুর দিকে পাহাড়ের পাদদেশে জমা হয়। বেশি বাষ্প বেশী বরফ তৈরি হয়। যা পরবর্তীতে উত্তর মেরু বা পৃথিবীর উত্তর প্রান্ত থেকে হিমবাহ ক্রমাগত পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে ছড়িয়ে পড়বে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যাবে। এর কারন সূর্যের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত। হিমবাহের কারনে বছরে বেশীর ভাগ ভূমি ঠান্ডা থাকবে।এতে করে মরুভূমির পরিবর্তন হয়ে সেখানে পানির সঞ্চার হতে পারে এবং নতুন গাছপালা ও নদী-নালার সৃষ্টি হবে। যা পৃথিবীর জলবায়ুর স্থানভেদে পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তনটা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এবং সময়ের বিবর্তনে ঘটে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলতেছেন যে, “পৃথিবীর কিছু অংশ তলিয়ে যাবে”- এমনটি হবে না। পানি বরফে রূপান্তর হয়ে উত্তর মেরুতে জমা হবে। এবং বরফ গলতে থাকবে।
সৃষ্টি কর্তা/আল্লাহ বলেছেন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক অধিকার আকাশে। আকাশ থেকে ভারী বর্ষণের ফলে উদ্ভিদ ও মৎসকূলের বিস্তার ঘটে। এর কারন সমুদ্রে কিছু পদার্থ আছে যা উদ্ভিদ কূলের প্রয়োজন এবং মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরন হয়। এসব পদার্থ গুলো হল ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরিন, আয়োডিন, ব্রোমিন ইত্যাদি যাহা ঘূর্নিঝড় ও বাষ্পের মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং এসব পদার্থগুলো উদ্ভিদ ও মৎসকূলের খাদ্যের চাহিদা মেটায়।এসব পদার্থগুলো এলো কোথায় থেকে – ইহা একটা প্রশ্ন? এসব পদার্থ গুলো পাহাড়ের পাদদেশ বেয়ে বিভিন্ন পদার্থ সাগরে ও নদ-নদীর উপকূলে পানি প্লাবিত হওয়ার মাধ্যমে ভূমিকে করে উর্বর।
Leave a Reply