গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পরিবারের সদস্যরা না আসায় গোপালগঞ্জে করোনায় মৃত নিত্যানন্দ বল্লবের (৬৭) মুখাগ্নি করলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান খান।
আজ রোববার দুপুর দেড়’টার দিকে কয়েকজন স্থানীয় ডোম এর সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় পৌর শশ্মাণে ইউএনও মৃত ব্যক্তির সৎকার করেন।
গতকাল শনিববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান। তিনি জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়নখানা গ্রামের বাসিন্দা।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক অসিত মল্লিক জানান, গত ৬ জুন করোনায় আক্রান্ত নিত্যানন্দ বল্লবকে কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রিফার্ড করা হয়। পরিবারের লোকজনের অনিহার কারণে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়নি।
গোপালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান খান বলেন, রাতেই প্রশাসন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মৃতের সৎকারের উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু শশ্মাণ কর্তৃপক্ষের বাঁধা ও মৃতের লাশ নেওয়ার জন্য কোন ভ্যান ব্যবস্থা করতে না পারায় সকালে সৎকারের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সকালে পরিবারের সদস্যরা কেউ লাশ সৎকারের জন্য আসেননি। এমন কি মোবাইল ফোনেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে পরিবারের কোন সদস্য না আসায় দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন ডোমের সহযোগিতায় মৃতের লাশের সৎকার করা হয়। আর নিজ দায়িত্বে মৃতের মুখাগ্নি করতে বাধ্য হলেন ইউএনও।
তিনি আরো জানান, করোনায় মৃতের লাশ কবরস্থান বা শশ্মাণে নিতে গিয়ে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই এসব মৃত দেহ দাফন বা সৎকারের জন্য একটি ভ্যানের ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
সৎকারে ডাঃ এস এম সাকিবুর রহমান ও ডাঃ জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মোট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৯ জন ।
মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৩১২ জন সুস্থ হয়েছেন, বাকী ২৮৭ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৪৯১১ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
সৈয়দ আকবর হোসেন,গোপালগঞ্জ
Leave a Reply