ধর্ষণ, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, পিটিয়ে ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের মতো বর্বর ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সিলেটে নাগরিকবন্ধন ও সমাবেশ করেছে নাগরিক সংগঠন ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’।
নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক বিচারহিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে নিরীহ মানুষকে গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা। কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ। এমন নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও এর উসকানিদাতাদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে দেশে আরও এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠবে।
বক্তারা বলেন, এইসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম সরকারকেই বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন নিশ্চিতে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় ‘নাগরিকবন্ধন’ চলাকালীন সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক আব্দুল করিম কীম।
এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সভাপতি সিকন্দর আলী, সিপিবি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হোসেন মানিক, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকািন্ত গুপ্ত, ইমজা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী, বাসদ পাঠচক্র ফোরামের সংগঠক সুশান্ত কুমার সিনহা, কবি আবিদ ফায়সাল, কবি প্রণবকািন্ত দেব, নারী নেত্রী ইন্দ্রানী সেন শম্পা, পরিবেশকর্মী আব্দুল হাই আল হাদী, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সভাপতি সরোজকািন্ত, ছাত্রফ্রন্ট সিলেটের সভাপতি সঞ্জয় দাস, ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক আশরাফুল কবির, সত্যজিত চক্রবর্তী, রাজীব রাসেল, মাহবুব রাসেল, নিরঞ্জন সরকার অপু, হিতাংশু কর বাবু প্রমুখ।
Leave a Reply