তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মানুষ যখন করোনাভাইরাস নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, বিএনপি তখন বাস ও মানুষ পোড়ানোর খেলায় মেতেছে। তারা দুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া শুরু করেছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, নিন্দনীয় এবং তাদের এই অপরাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে নাই’।
রবিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব বলেন।
‘বিএনপির পক্ষ থেকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আপনারা দেখেছেন, নিতাই রায় চৌধুরীর সঙ্গে তাদের দলের নেত্রী ফরিদা বেগমের কথোপকথনে বলা হয়েছে, যুবদলের ছেলেরা বাসে আগুন দিয়েছে। প্রথম বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটাও কিন্তু নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একটি সরকারি বাসে। সুতরাং এই অপরাজনীতি যারা করে, তারা কখনো জনগণের রাজনীতির দল হতে পারে না।’
‘বিএনপি কানাডার আদালত কর্তৃক সন্ত্রাসী দল হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে, সেখানে আপিল আদালতও রায় বহাল রেখেছে’ স্মরণ করিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে কেন সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে সেটির ব্যাখ্যাও আছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে, সরকারি সম্পত্তি, জনগণের সম্পত্তি পুড়িয়েছে, ধ্বংস করেছে, এজন্যই তারা সন্ত্রাসী দল। কোনো সন্ত্রাসী দলের আসলে এদেশে কি রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না, সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।’
‘বিএনপি সন্ত্রাসী দলের পাশাপাশি একটি মিথ্যাবাদী দলেও রূপান্তরিত হয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অবাক লাগে কিভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব অবলীলায় মিথ্যা বলে যান। দুনিয়াতে মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে যদি কোনো পুরস্কার থাকতো, মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রথম পুরস্কার পেতেন। মির্জা ফখরুলকে বলব এই অপরাজনীতি এবং ক্রমাগত মিথ্যা বলার রাজনীতি থেকে দয়া করে বের হয়ে আসুন।’
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে ভোটার উপস্থিতি কম হবে এটাই স্বাভাবিক। সুষ্ঠু ভোট নাহলে তো ভোটার টার্ন আউট অনেক বেশি হতো। বিএনপি আসলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে জয়লাভের উদ্দেশ্যে নয়, তাদের মূল উদ্দেশ্য দু’টি, প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে দলকে টিকিয়ে রাখা। আর তাদের সব অভিযোগ গতানুগতিক। সব নির্বাচনের সময়ই তারা এই অভিযোগ করে থাকেন।’
Leave a Reply