৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকল্প কাজ নেয়া হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। অথচ গত জুন মাস পর্যন্ত অর্থাৎ ২০ মাসে এ কাজে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ।
পার্ক উন্নয়নের কাজে এই ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. জিল্লুল হাকিম, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং জোহরা আলাউদ্দিন অংশ নেন।
বৈঠকে পার্ক এলাকায় মসজিদ বাদে নকশা বহির্ভূত সব স্থাপনা, জরাজীর্ণ ভবন ও রেস্তোরাঁ ভেঙ্গে কফিশপ নির্মাণের সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়া কমিটি নকশা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত বাস্তবায়ন ও শিশু পার্কের আধুনিকায়ন কাজ শেষ করার তাগিদ গিয়েছে।
কমিটির আগের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
সেই বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সেই বৈঠকে কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে অর্থ বরাদ্দসহ নকশা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত হলেও শুধু ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ হয়েছে। পার্ক এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার থাকায় সেখানকার পরিবেশ প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও বড় পার্কগুলোতে রেস্টুরেন্ট থাকার নজির নেই। বৈঠকে গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে উন্মুক্ত কফিশপ নির্মাণের ব্যব্স্থা নিতে বলা হয়।
ওই বৈঠকে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও কাজটি দ্রুত শেষ করার ওপর তাগিদ দেন।
বৈঠকে ঢাকার মিরপুরে আবাসিক ফ্ল্যাট ‘স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্প ১’ ও ‘স্বপ্ননগর আবাসিক প্রকল্প ২’ এবং উত্তরার তৃতীয় ফেজে ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন এবং মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। রাজশাহীর আরডিএ মার্কেট ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠক করার সুপারিশ করা হয়।
Leave a Reply